স্যার আইজ্যাক নিউটন কিভাবে মারা গেছেন , সেটা এখনো রহস্য । অনেকের ধারনা - তাকে স্লো পয়জনিং এর মাধ্যমে মারা হয়েছিল। মৃত্যুর পর তার চুল থেকে পয়জন মেটাল মার্কারী পাওয়া গিয়েছিল। অনেকের ধারনা এই মার্কারী থেকেই নিউটনের Nephrotic Syndrome হয়েছিল।
আসুন তার জীবনের মেডিকেল রিলেটেড কি কি ঘটেছিল, সেই ইতিহাস থেকে একটু ঘুরে আসি।
নিউটনের জন্মের তিন মাস আগেই তার বাবা মারা যান। জন্মের সময় নিউটন একটা Low Birth weight বেবী হিসেবে জন্ম হয়েছিল। তার মা বলত - তাকে নাকি অনায়াসে একটি কোয়ার্ট মগের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া যেত।
বয়স যখন তিন, তখন তার মা আরেক বিয়ে করেন । নিউটনের লালন পালন করেন তার নানী । তখন থেকেই তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলন। কারো সামান্য কথাতেই তিনি মারাত্মক রকম রেগে যেতেন। পরে তিনি Bipolar Disorder নামের মানসিক রোগে মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত হন।
স্যার আইজ্যাক নিউটনের Asperger’s syndrome ও ছিলো। এটা একটা নিউরোলজিক্যাল ডিজেজে , যেটা My name is khan মুভিতে শাহরুখ খানের ছিল।
নিউটন তার ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত করা পাপ কাজগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছিলেন। সেই তালিকা থেকে মায়ের প্রতি তার এই ক্ষোভের প্রমাণ পাওয়া যায়। তালিকায় লিখা ছিল : "আমার বাবা ও মা-কে এই বলে ভয় দেখানো যে আমি তাদের থাকবার ঘর জ্বালিয়ে দেবো"। জনৈকা মিস স্টোরির সাথে নিউটনের বাগদান হয়, কিন্তু পড়াশোনা ও গবেষণায় খুব বেশি নিমগ্ন থাকার কারণে নিউটন বিয়ে করেন নি। তাছাড়া তার Personality Disorder এতোই মারাত্মক ছিল, অনেকে তার সাথে মিশতেও সাহস পেতো না।
নিউটনের আমলে ব্রিটেনে অনেক জাল নোটের প্রচলন ছিল । কিন্তু জাল নোট ধরার উপায় যখন বের করলেন, তখন দেখলেন ব্রিটেনের সমস্ত নোটের প্রায় ২০% ই জাল । তিনি প্রায় ২০০ জনকে জাল নোট বের করার জন্য কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছিলেন ।। তাই সন্ত্রাসীরা তার পিছনে সব সময় লেগে থাকত।
নিউটনের আরেকটি রোগ ছিল Gout .. তার জয়েন্টে প্রায়ই প্রচন্ড ব্যাথা হতো। ব্যাথার বর্ণনি দিতেন এভাবে - . . . the pain rose to such a height that the bed under him, and the very room shook with his agony, to the wonder of those that were present’
যেহেতু এই রোগে Uric acid বেশি থাকে , তাই ইউরিক এসিড রিলেটেড ডিজেজ গুলো শেষ বয়সে অনেক ডিস্টার্ব করেছিল নিউটনকে।
তার মধ্যে একটা হলো - Bladder Stone ..তার ইউরিক এসিড স্টোন হয়েছিল। সেই স্টোনের জন্য নিউটনের অনেক ভোগান্তি হয়েছিল। মাঝে মাঝে প্রস্রাবের সাথেও ছোট ছোট স্টোন বের হতো । তার চিকিৎসক তার স্টোন ডিজেজের জন্য বলেছিলেন - " . . no hope of recovery."। এক সময় তার Urinary Incontinence ডেভেলপ করে।
এভাবেই ধীরে ধীরে রোগে জর্জড়িত হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নেন চিরকুমার "স্যার আইজ্যাক নিউটন"।
লিখেছেন- ডাঃ সাঈদ সুজন
লিখেছেন- ডাঃ সাঈদ সুজন
Post a Comment