Sexual Desire বা যৌন ইচ্ছা

 


দেখুন শারীরিক এই ব্যাপারগুলো মানুষের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য। কিন্তু আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আল্লাহ্‌ আপনাকে যেই জিম্মাদারি দিয়েছেন তা হচ্ছে আপনাকে একটা পরিবার গঠন করতে হবে। আল্লাহ্‌ তা'আলা এটাই চান যে মানুষ বিয়ে করে পরিবার গঠন করবে অতঃপর স্বামী স্ত্রী দুজন থেকে সন্তান জন্ম নিয়ে পরবর্তী প্রজন্ম পৃথিবীতে আসবে আর এভাবেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং এক প্রজন্ম থেকে পরের প্রজন্ম চলতে থাকবে।


একবার চিন্তা করুন যদি শারীরিক যৌন চাহিদার ব্যাপারটি আল্লাহ্‌ তা'আলা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সীমাবদ্ধ করে না দিতেন তবে যে যার খুশিমত যৌন ইচ্ছা নিবারন করতো। আর এতে যে সন্তান জন্মগ্রহন করতো তাকে কেউ রাস্তাঘাটে ফেলে দিতো, তানাহলে তাকে হত্যা করতো।


পুরুষেরা সে বাচ্চার দ্বায়ভার নিতে চাইতো না। ফলে পরিবার গঠন হতো না। বংশ প্রজন্ম এগিয়ে যেতো না। একারনে আল্লাহ্‌ তা'আলা এ বিধান দিয়েছেন যে একজন পুরুষ ও একজন নারী উভয়ে পছন্দ করে দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি পরিবার গঠন করবে, সন্তান জন্ম দিবে। আর সেক্ষেত্রে পুরুষটি সংসারের রোজগারের দায়িত্ব নিবে এবং একজন নারী ঘরের দায়িত্ব পালন করবে। তারা দুজনেই এই দায়িত্ব ভাগ করে নিবে এবং দায়িত্ব নিয়ে পালন করবে।


সন্তান জন্মানোর পর তাদেরকে সঠিক শিক্ষা দিবে এবং ১৫-২০ বছর সাবালক হওয়া পর্যন্ত লালন পালন করবে। এই কারনেই আল্লাহ্‌ তা'আলা শারীরিক সম্পর্ক শুধুমাত্র স্বামী স্ত্রীর মাঝেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন, তানাহলে আল্লাহ্‌র কোন প্রয়োজন ছিলো না লজ্জাস্থান স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সীমাবদ্ধ করার।


আমি আপনি যখন প্রথম পৃথিবীতে আসি তখন একেবারে দুর্বল হয়ে জন্মগ্রহন করি। মুখে নিজের খাবারটুকু তুলে খেতে পারিনা, হাটাচলা করতে পারিনা। কেউ দায়িত্ব নিয়ে লালন পালন না করলে আমরা বেঁচেি থাকতে পারতাম না। যদি কেউই আমাদের দায়িত্ব নিয়ে লালনপালন না করতো আমরা মারা যেতাম।


ততোক্ষণ একটি পরিবার গঠন হবে না, যতক্ষণ না পুরুষ ও নারী একজন আরেকজনের আনুগত হয়ে না থাকবে। আর এই মূল উদ্দেশ্যের কারনেই বিয়ের আগে ও পরে বিয়ের আল্লাহ্‌ তা'আলা পুরুষ নারীকে আদেশ করেছেন যে তারা যেন নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। লজ্জাস্থানের ব্যাবহার যেন শুধু স্বামী স্ত্রীর জন্যই ব্যবহার করা হয়।


অবৈধভাবে মেলামেশা করা ও অশ্লিলতাকে আমাদের দ্বীন ইসলামে একটি জুলুম বলা হয়েছে এবং হারাম করা হয়েছে। অনেক সময়েই পর্ণ বা খারাপ ভিডিও দেখতে দেখতে মানুষ অল্প থেকে পুরো নেশায় ডুবে যায়। একারনে আল্লাহ্‌ তা'আলা এ বিষয়গুলো থেকে নিজেকে বেঁচে থাকতে বলেছেন। আপনি নিজের অন্তর পবিত্র রেখে চলুন এবং এমন কিছু করবেন না যাতে আপনি সংসারিক জিবনে স্ত্রীর কাছে সমস্যায় পড়েন।


যুবক ও যুবতীদের সতর্ক করা উচিৎ তারা যেন তাদের লজ্জাস্থানকে তাদের ভবিষ্যৎ স্বামী/স্ত্রীর জন্য যত্ন করে দায়িত্ব নিয়ে হেফাজত করে। কাজটি কঠিন হলেও আপনাকে সেটা মাথায় রেখেই দুনিয়াতে টিকে থাকতে হবে। এটাই আল্লাহ্‌র বিধান আর আপনার আমার পরীক্ষা।


- লিখাটি অনুবাদ করা হয়েছে উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদি'র প্রশ্ন উত্তর থেকে।

Post a Comment

Previous Post Next Post