১. প্রথমবার পরীক্ষার সময় চিকিৎসা কেন্দ্রে যা পরীক্ষা করে তা হল -
গর্ভবতী মাকে পরীক্ষাঃ উচ্চতা , ওজন , রক্তচাপ , সাধারণ স্বাস্থ্য , রক্তস্বল্পতা , পা ফোলা , হার্টের অসুখ , মেদবাহুল্য ইত্যাদি।
পরীক্ষাগারে পরীক্ষাঃ রক্তের হিমোগ্লোবিন্ , রক্তের গ্রুপ , আর আইচ ফ্যাক্টর , প্রস্রাব পরীক্ষা , বিশেষ করে অ্যালবুমিন এবং সুগার , সিফিলিসের পরীক্ষা , হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের পরীক্ষা , সম্ভব হলে এইডস ভাইরাসের পরীক্ষা।
২. পরবর্তীতে প্রতিবার গর্ভবতী মা যখন চিকিৎসা কেন্দ্রে যাবে তখন তার নিন্মলিখিত পরীক্ষাসমূহ করা হবে
প্রতি চেকআপে একই মেশিনে একই সময়ে ওজন নেয়া ও তা রেকর্ড করা। রক্তচাপ মাপা , রক্তস্বল্পতা , পা ও শরীর ফোলা , হার্ট ও ফুসফুসের অবস্থা দেখা , রক্তের হিমোগ্লোবিন , প্রস্রাবের পরীক্ষা বিশেষ করে অ্যালবুমিন ও সুগার।
৩. জরায়ুর উচ্চতা দেখা- এটি গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধির পরিমাপ। জরায়ুতে সন্তানের অবস্থান এবং ছয় মাসের পর থেকে ফিটাস ( গর্ভস্থ সন্তান ) এর হার্টবিট শোনা।
৪. শেষ চেকআপে পেলভিসের (প্যাসেজের) পরিমাণ নেয়া।
৫. গর্ভবতীর কোনো জটিলতা থাকলে তার সঠিক নির্ণয় ও প্রতিকার।
৬. বিশুদ্ধ পানি পান , সুষম খাবার ও সহবাস পদ্ধতি সম্পর্কে স্বামী - স্ত্রীকে শেখানো।
৭. আট থেকে আঠারো সপ্তাহের মধ্যে জরায়ুর আন্ট্রাসনোগ্রাফি করে ভ্রুণ সঠিক অবস্থানে আছে কিনা তা জানা যায়।
৩২-৩৩ সপ্তাহের মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জরায়ুতে গর্ভস্থ সন্তানের অবস্থান সঠিক কিনা জানা যায়। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর অন্তত চারবার চেকআপ জরুরি। প্রথম ১৬ সপ্তাহে একবার, পরে ২৮ সপ্তাহে আরেকবার, তারপর ৩২ সপ্তাহে, এরপর একেবারে ডেলিভারির আগে একবার। অন্তত এই চারবার যদি একজন গর্ভবতী নারী চিকিৎসকের কাছে যান, তাহলে অনেকটাই শঙ্কামুক্ত থাকতে পারবেন। গর্ভকালীন তাঁর কোনো সমস্যা হলে সেগুলো সমাধান করা সম্ভব হবে।
Post a Comment