(১) যাদুর প্রভাব বা দুষ্ট জিনের আক্রমনে স্ত্রী সহবাসে অক্ষমতা। এর জন্য ঝাড়ফুক ও অন্যান্য শরীয়ত সম্মত আমল করতে হবে।
(২) শারীরিক অপুষ্টি বা কোন মানসিক সমস্যার কারণে যৌন দুর্বলতা, যা সঠিক ঔষধ প্রয়োগ ও মানসিক উদ্দীপনার মাধ্যমে দ্রুত উন্নত হবে ইন শা আল্লাহ।
(৩) বিয়ে বা যৌন মিলন সংক্রান্ত মানসিক ভীতির কারণে দ্রুত বীর্যপাত। প্রকৃতপক্ষে, এটা কোন রোগ বা সমস্যা নয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর ভালো সম্পর্ক ও বুঝা-পরা দ্বারা এমনিতেই সমাধান হবে ইন শা আল্লাহ।
(৪) অবৈধ যৌন সম্পর্কের কারণে যৌন বাহিত রোগ যেমন এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়াতে আক্রান্ত হওয়া। তাদেরকে আন্তরিক তোওবা করে দ্রুত উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে হবে, এবং বিয়ের ব্যপারে ডাক্তারের পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা গ্রহণ করতে হবে। এই সমস্ত রোগের বাহক না জানিয়ে কোন সুস্থ মানুষকে বিয়ে করে তাকে সেই রোগে আক্রান্ত বানাতে পারবে না।
(৫) স্থায়ী পুরুষত্বহীনতা বা বন্ধ্যাত্ব। এটা বিবাহের জন্য বাঁধা, কারণ এতে কোন নারী তার হক্ক থেকে বঞ্চিত হয়। এর জন্য সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে, এবং আল্লাহর কাছে দুয়া করতে হবে। আল্লাহ মানুষকে রোগ দিয়ে পরীক্ষা করেন, আবার তিনিই মানুষকে শিফা দান করেন। তবে কোন নারী যদি নিজের অধিকার ত্যাগ করে বিয়ের পূর্বে জেনে-শুনে, স্বেচ্ছায় এমন কোন পুরুষকে বিয়ে করে, তবে সেই বিয়ে বৈধ।
(৬) হস্তমৈথুন। এটা হারাম, বদ অভ্যাস ও পুরুষত্বের জন্য ক্ষতিকর। এ থেকে আন্তরিক তোওবা করতে হবে, ইতিমধ্যে যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে।
(৭) স্বপ্নদোষ। এটা কোন দোষ বা সমস্যা নয়, বরং অবিবাবিত পুরুষদের শরীরের স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। তবে গায়ের মাহরামদের দিকে অবৈধ দৃষ্টিপাত করা ও রসের আলাপ জমানো, পর্নোগ্রাফী, নারীদেরকে নিয়ে অশ্লীল চিন্তা বা জল্পনা-কল্পনা করা স্বপ্নদোষ বাড়িয়ে দেয়। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, পবিত্র জীবন-যাপন, খারাপ কাজ ও চিন্তা বাদ দেওয়া, গায়ের মাহরামদের সংশ্রব থেকে দূরে থাকা, আল্লাহকে ভালোবাসা ও ইবাদতে মনোযোগী হওয়া এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।
(৩+৬+৭) এই তিনটি বিষয় নিয়ে যুবক ভাইদের মাঝে অজ্ঞতা থাকায় রাস্তার ফুটপাতে ক্যানভাসার এবং একশ্রেণীর ভুয়া ডাক্তার ও কবিরাজেরা উল্টাপালটা কথা বলে, পত্রিকাতে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দিয়ে, ভুল বুঝিয়ে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এমন ঔষধ বিক্রি করে। আপনারা কেউই রেজিস্টার্ড অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত নিজে নিজে বা দুই নাম্বার ডাক্তারের পরামর্শে কোন ঔষধ সেবন করবেন না। রোগ-ব্যাধি নিয়ে লজ্জার কিছু নেই। আল্লাহ রোগ দিয়েছেন, তিনি রোগে শিফাও দান করেছেন। সামর্থ্য অনুযায়ী উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করা সুন্নত। সুতরাং লজ্জা নয়, উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করুন এবং অপ-চিকিৎসা থেকে বেচে থাকুন।
Read also:
Post a Comment