শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণ



শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণ কি ? (What are the Causes of Calcium Deficiency in Bengali.)

ক্যালসিয়ামের ঘাটতির মূল কারণ হ’ল ডায়েটে ক্যালসিয়াম গ্রহণ না করা। অতিরিক্ত ব্যায়াম এর কারণে ক্যালসিয়ামের অভাব হতে পারে। যেখানে হালকা ব্যায়াম করলে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বজায় থাকে।

ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণের প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে তোলে। যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকে তবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি নিজে থেকেই শুরু হয়।

প্রচুর পরিমাণে সফট ড্রিংক পান করলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় ।

শরীর দুর্বল হলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।

যে মহিলারা ক্রীড়াবিদ হন তাদের মেনোপজের সময় বেশি ক্যালসিয়াম হ্রাস পায়ে। ইস্ট্রোজেন কাজ করে বলে এটি এক ধরণের হরমো যা হাদিয়োকে শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে।

অতিরিক্ত মেদ, চিনিযুক্ত খাবার, প্রোটিন ডায়েট ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সৃষ্টি করে। সফট ড্রিংক অ্যালকোহল, তামাক, অতিরিক্ত লবণ সেবনের ফলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়। (আরও পড়ুন – কফির সুবিধা এবং অসুবিধা)

মিহি শস্য, মাইট ইত্যাদিতে ক্যালসিয়ামের অভাব ঘটে


ক্যালসিয়াম ঘাটতি হলে শরীরে কি কি লক্ষন দেখা যায় ? (What are the Symptoms of Calcium Deficiency in Bengali.)

ক্যালসিয়ামের ঘাটতির লক্ষণগুলি চটজলদি বোঝা যায়না। আসুন ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কয়েকটি লক্ষণ দেখা যাক -

  • ক্লান্ত বোধ করা।
  • বন্ধ্যাত্ব।
  • মৃগীরোগী অধিগ্রহণ।
  • নিদ্রাহীনতা থাকা। (এবং কেন পড়া-অনিদ্রার সমস্যা আছে জানুন?)
  • ত্বকে শুষ্কতা।
  • ছানি।
  • বুক ব্যাথা।
  • উচ্চ কোলেস্টেরল স্তর।
  • মিসচার্জ।
  • হাত অসাড় হওয়া।
  • মাড়ির রোগ (আরও পড়ুন – দাঁতের কৃমি দূর করার ঘরোয়া প্রতিকার)।
  • খিদে না পাওয়া।
  • উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি।


কয়েকটি কারণে বিশ্বাস করা হয় যে শক্ত হাড়ের জন্য শুধু শিশুদের দুধ খাওয়া দরকার। প্রাপ্তবয়স্ক অনেকে মনে করেন না যে তাদের প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম দরকার। ক্যালসিয়াম শরীরের পক্ষে দরকারি যেহেতু এটা রক্তচাপ কমায় এবং হাড় শক্ত করে। ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় দুগ্ধজাতীয় খাবারে যেমন দুধ, পনির ও দই। তাছাড়া সামুদ্রিক খাবারে এবং সবুজ সবজিতেও পাওয়া যাই। বর্তমানে আমরা সবাই অস্বাস্থ্যকর খাবার, জাঙ্ক ফুড, পিঁজা, বার্গার এবং তেলে ভাজা খাবার খাই যা পুষ্টি নষ্ট করছে। আমাদের জীবন যাপন বর্জিত করছে সমস্ত রকম শারীরিক কার্যকলাপ, এটাই অন্যতম কারন অস্বাস্থ্যকর জীবনের। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ প্রস্তাব দিয়েছে যে পুরুষ ও মহিলা সবারই প্রতিদিন ১০০০ মিগ্রা করে ক্যালসিয়াম দরকার। ক্যালসিয়ামের অভাবে আমাদের



দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির জন্য শরীরে যে মারাত্মক প্রভাব পড়ে বা যে লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হলোঃ-

i) পায়ে খেঁচুনি ধরাঃ যদি আপনারা আপনাদের পায়ে খেঁচুনি ধরা অনুভব করেন, তাহলে এটা ক্যালসিয়ামের অভাবের প্রথম লক্ষণ।এর প্রতিকারে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার রোজকার খাবারে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম রয়েছে।



ii) দাঁতের গর্তঃ আগের চেয়ে দাঁতের গর্ত বাড়ছে? শুধু মিষ্টিকে দোষ দেবেন না।যখন আমাদের শরীর খাবার থেকে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম না পায়, এটি অন্যান্য উৎস থেকে খোঁজে, যেমন আমাদের দাঁত।



iii) অসাড় অবস্থাঃ পায়ে খেঁচুনি ধরার মতো ক্যালসিয়ামের অভাবের জন্যে আমাদের হাতের স্প্ল্যাশাল স্নায়ু নষ্ট হয়ে যায়। যদি আপনি আগুলের ওপর অস্থিরতা বা ঝলকানি সংবেদন অনুভব করেন তাহলে এখুনি ক্যালসিয়ামের পরিমাণ পরীক্ষা করান।



iv) ভঙ্গুর নখঃ দাঁত ও শরীরের মতো নখেও ক্যালসিয়াম থাকে। অতএব, একটি ক্যালসিয়াম-অনাহারী শরীর পুষ্টির জন্য সেখান থেকে ক্যালসিয়াম নেবে। এটার জন্যে আমাদের নখ ভঙ্গুর হয়ে যায়, যদি না আমরা পরিমিত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করি।



v) ঘুমের অসুবিধাঃ মেডিকেল তথ্য আনুসারে ক্যালসিয়াম সেরোটোনিন তৈরি করতে সাহায্য করে, যা কিনা ঘুমের জন্যে দায়ি। যখন আপনি গভীর ঘুমে যান, তখন আপনার ক্যালসিয়ামের লেভেল বেড়ে যায়। সুতরাং যদি আপনি রাতে কম ঘুমান তাহলে আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব বাড়বে।



vi) বাজে অঙ্গবিন্যাসঃ কম ক্যালসিয়াম মানে, দুর্বল হাড় এবং দুর্বল হাড় মানে দুর্বল শরীর। আপনার শরীর এই দুর্বলতার জন্যে জবুথবু হয়ে যাবে। এই বাজে অঙ্গবিন্যাসের জন্যে পিঠে ও কাঁধে ব্যাথা বাড়বে।



vii) হৃদরোগের আক্রমণঃ জৈবপ্রযুক্তি জাতীয় কেন্দ্র বলছে যে ক্যালসিয়াম পেশী সংকোচন এবং নিউরোট্রান্সমিটার রিলিজ দরকারি। সুতরাং ক্যালসিয়ামের অভাব হৃদরোগের আক্রমণের কারন হতে পারে।



viii) স্মৃতিশক্তি হ্রাসঃ রিমোট কোথায় রেখেছিলেন তা মনে করতে পারছেন না? ক্যালসিয়ামের অভাবের জন্যে স্নায়বিক উপসর্গগুলি হয় যেমন স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও ভুলে যাওয়া।

Post a Comment

Previous Post Next Post