হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠা | একটি মারাত্মক ভুল


গত মার্চের ৬ তারিখের গভীর রাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল! দ্রুত ওঠে বাথরুমে পেসাব করে বোতলে পানি খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ি। তার দুইদিন পর সিমটম শুরু হলে নিউরোসাইন্স হাসপাতালে যাই। যথারীতি সিটিস্ক্যান! ধরা পড়ে মাইনর স্ট্রোক!

পরামর্শঃ-

যারা রাত্রে বা ভোরে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন তাদের জন্য ডাক্তারদের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ:


আমরা প্রায়ই শুনতে পাই একেবারে সুস্থ একজন মানুষ রাতের বেলা হঠাৎ মারা গেছেন। এটার একটা কারন হচ্ছে রাতে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমরা তাড়াহুড়ো করে হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে পড়ি, যা ব্রেইনে রক্তের প্রবাহ হঠাত কমিয়ে দেয়। এটা আপনার ইসিজি প্যাটার্নও বদলে দেয়।


হুট্ করে ঘুম থেকে উঠেই দাঁড়িয়ে পড়ার দরুন আপনার ব্রেইনে সঠিক ভাবে অক্সিজেন পৌছাতে পারেনা, যার ফলে হতে পারে স্ট্রোক, হার্ট এ্যাটাকের মত ঘটনাও।


ডাক্তাররা ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাবার আগে সবাইকে 'দেড় মিনিট' সময় নেয়ার একটি ফর্মুলা দিয়েছেন।


এই দেড় মিনিট সময় নেয়াটা জরুরি কারন এটা কমিয়ে আনবে আপনার আকস্মিক মৃত্যুর সম্ভাবনা।


হঠাৎ এই উঠে পড়ার সময়ে এই দেড় মিনিটের ফর্মুলা বাঁচিয়ে দিতে পারে আমাদের জীবন।


১। যখন ঘুম থেকে উঠবেন, হুট করে না উঠে মিনিমাম তিরিশ সেকেন্ড বিছানায় শুয়ে থাকুন।


২। এরপর উঠে বিছানায় বসে থাকুন তিরিশ সেকেন্ড।


৩। শেষ তিরিশ সেকেন্ড বিছানা থেকে পা নামিয়ে বসুন।


এই দেড় মিনিটের কাজ শেষ হবার পর আপনার ব্রেইনে পর্যাপ্ত পরিমানে অক্সিজেন পৌছাবে যা আপনার স্ট্রোক, হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি একদম কমিয়ে আনবে।


খুবই গুরুত্তপুর্ন এই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যটি‌ ছড়িয়ে দিন আপনার পরিবার, বন্ধু এবং পরিচিত লোকজনের মাঝে। নিজে এই ফর্মুলাটি মেনে চলুন এবং অন্যদেরকেও মানতে বলুন।


মনে রাখবেন যেকোন বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। সুতরাং সবাই নিয়মটি মানতে চেষ্টা করবেন।


[বিঃদ্রঃ সংগৃহীত, জনসচেতনতার জন্যে প্রচারিত]

Post a Comment

أحدث أقدم