প্রস্টাইটিস এর লক্ষণ ও চিকিৎসা



ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসে কিন্তু প্রস্রাব করতে গেলে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না। এই ধরনের সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে। তবে ছেলেদের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা প্রস্টেটে ইনফেকশনের জন্য হয়ে থাকে বেশি। এই সমস্যার নাম প্রস্টাইটিস ।


প্রস্টেট কি

প্রস্টেট হল আখরোট সাইজ একটা গ্লান্ড, যেটা ছেলেদের প্রস্রাবের থলির ঠিক নিচে থাকে এবং মলনালীর সামনে থাকে। প্রস্টেট সকল পুরুষেরই থাকে। এটার কাজ হল স্পার্ম তৈরি করা।


প্রস্টাইটিস কি

প্রস্টাইটিস হল প্রস্টেটের ইনফ্লামেশন। কোন কারণে প্রস্টেটে ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন হলে প্রস্টেট ফোলে যায়, প্রদাহ হয় এবং প্রস্রাব করতে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া করে। এটাই প্রস্টাইটিস।


প্রস্টাইটিস একিউট বা ক্রনিক উভয় হয়ে থাকে। ক্রনিকের ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেও ইনফেকশন এইভাবে ধরা পরে না।


প্রস্টাইটিসের লক্ষণ

১। প্রস্রাব ধরে রাখতে সমস্যা হয় কিন্তু প্রস্রাব করতে গেলে অল্প প্রস্রাব আসে।

২। ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসে, বিশেষ করে রাতের বেলায়।

৩। প্রথমদিকে জ্বর আসতে পারে, পরে ক্রনিক হয়ে গেলে আর জ্বর আসে না।

৪। প্রস্রাব করতে জ্বালাপোড়া হতে পারে।

৫। পুরুষাঙ্গে ব্যথা হতে পারে।

৬। বীর্যের সাথে রক্ত আসতে পারে।

৭। কোমরেও ব্যথা হতে পারে।


চিকিৎসা

প্রস্টাইটিস সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক খেতে পারেন।


প্রস্টাইটিসের আধুনিক চিকিৎসা

সাম্প্রতিক হাইকোয়ালিটি গবেষনায় দেখা গিয়েছে - প্রস্টাইটিস চিকিৎসায় শকওয়েভ থেরাপি এবং আকুপাংচার থেরাপি অনেক কার্যকর।


সঠিকভাবে শকওয়েভ থেরাপি এবং আকুপাংচার চিকিৎসা নিলে প্রস্টাইটিস চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে পারে।


সাম্প্রতিক সময়ে ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টারে একজন ক্রনিক প্রস্টাইটিস রোগী এসেছিলেন। তিনি প্রায় আশা হারিয়ে ফেলছিলেন। আর ভাল হবে না। সার্জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সার্জারীতে উনার অনেক ঝুঁকি ছিল। তাই তিনি শেষ ভরসা হিসেবে আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমরা উনাকে দেড় মাস চিকিৎসা দিয়েছিলাম। আমরা উনাকে পেলভিক স্টিমুলেশন এক্সারসাইজও দিয়েছিলাম। তিনি এখন সম্পূর্ন ভাল।


লিখেছেন: ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি

Post a Comment

Previous Post Next Post