ধাতু সিনড্রোম সমস্যা ও সমাধান


সমস্যার ধরণ: সাইকোসেক্সুয়াল ডিস্ফাংশন/মনোযৌন সমস্যা।


এই সমস্যায় রোগী বলবে “আমি দুর্বল বোধ করি কারন আমর স্বপ্নদোষ হয় / রাতে ঘুমের মধ্যে আমার বীর্যপাত হয় অথবা প্রস্রাবের-সাথে বীর্য বের হয়”।


আসুন বিষয়টি নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করি:

বাংলাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পুরুষদের এক আজব বিশ্বাস রয়েছে। এদের বিশ্বাস বীর্য ( আমাদের দেশে ধাতু নামে বহুল প্রচলিত ) হলো শারীরিক শক্তির উৎস। যদিও এই বিশ্বাসটি ভুল। বীর্যের সাথে শারীরিক শক্তির কোন সম্পর্ক নেই।


তরুনরা যখন লক্ষ্য করে যে তাদের বীর্য ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে, যেমন রাতে ঘুমের মাঝে স্বপ্নদোষের মাধ্যমে কিংবা প্রস্রাব পায়খানার সাথে তখন স্বভাবতই তারা উদ্বিগ্ন হয়ে যায়। যদিও এগুলো কোন রোগ না একদম স্বাভাবিক একটা বিষয়। অনেক তরুণ সঠিক তথ্য না জানার কারণে এবং সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কারণে নিজেকে অসুস্থ মনে করে , ক্লান্তি , ব্যথা বেদনা , পুরুষত্বহীনতা এবং আত্মহত্যার অনুভূতি ইত্যাদি অসুবিধার কথা বলে।


এসব সমস্যার চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথমেই রোগীকে যৌনতা সম্পর্কে সময় নিয়ে ব্যাখ্যা করতে হয় বা ভাল করে বুঝিয়ে বলা হয় যে যৌনতা আসলে কি।


সাধারণ উদাহরণ হলো মনে করুন একটি গ্লাসে দুধ ভরা আছে। এতে আপনি যতই দুধ ঢালুন তা উপচে বাইরে পরে যাবে কিন্তু গ্লাসের দুধটুকু কমবেনা। বীর্যের ক্ষেত্রেও তাই।


এ সম্পর্কে যৌন বিষয়ে শিক্ষাদান গুরুত্বপূর্ণ। এর পরেও রোগী যদি উৎকণ্ঠিত বা অবসাদগ্রস্থ / বিষণ্ন থাকে তাহলে ঔষধ এর মাধ্যমে চিকিৎসা করতে হয়।


স্বাভাবিকভাবে মাসে ১০ বার স্বপ্নদোষ হলেও আমরা টেনশন করতে নিষেধ করি। এর বেশি হলে নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ দিতে হয়।


এই সমস্যার জন্য রোগীদেরকে চারটি পরামর্শ দিয়ে থাকি, এপরামর্শগুলো মেনে চললে রোগী ওষুধ ছাড়াই ভালো থাকে এবং সুস্থ হয়ে যায়:

১) ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমানো।

২) নিয়মিত খেলাধুলা করা অথবা ৩০ মিনিট জগিং করা।

৩) সমস্যা নিয়ে একদম টেনশন ফ্রি থাকা।

৪) ব্যালেন্স ডায়েট বা সুষম পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ।


লেখক: ডা. মোঃ ফাইজুল হক

Post a Comment

Previous Post Next Post