পুরুষত্বহীনতা (impotency) ও সাইকোসেক্সুয়াল ডিসফাংশন (মনোযৌন সমস্যা)

 


পুরুষত্বহীনতা(impotency) হলো পুরুষের যৌন সমস্যা। এক্ষেত্রে পুরুষের উপযুক্ত যৌন ক্ষমতার অভাব সৃষ্টি হয়। মোটামুটি দুই ধরনের পুরুষত্ব হীনতা দেখা যায়।


(১) যৌন উত্তেজনার পুরোপুরি অভাব,যৌন সংগম করার উপযোগী লিংগ সুদৃঢ় না হওয়া বুঝায়।


(২) লিংগ সুদৃঢ় হলেও, যৌন মিলনের অল্প সময়ের মধ্যেই পুরুষের বীর্যপাত হওয়া বুঝায়।


যে কোনও বয়সে কিছু সংখক পুরুষ এই ধরনের কোনও প্রকারের পুরুষত্বহীনতার শিকার হয়। জৈবিক কিংবা মনস্তাত্বিক কারনে পুরুষত্বহীনতা দেখা দিতে পারে। তবে, পুরুষত্বহীনতায় আক্রান্ত অধিকাংশ পুরুষের বেলায় মনস্তাত্বিক কারনই বিশেষ ভাবে বিদ্যমান থাকে ।


মনস্তাত্বিক কারন বলতে মনস্তাত্বিক বাধাকেই বুঝায়। এই লেখায় আমরা মানসিক কারনে পুরুষত্বহীনতা নিয়ে আলোচনা করবো।


কারণ

প্রথমত:

  • বাল্য জীবনের ভুল শিক্ষা।
  • যৌন আচরন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাব বা ক্ষতিকর ভুল তথ্য পরিবেশন।
  • অপরাধ বোধ।
  • অত্যধিক যৌন প্রতাশা।
  • যৌন - আচরনকে মন্দ হিসেবে চিহ্নিত করন।
  • প্রথম যৌন মিলনে ব্যর্থতা।


দ্বিতীয়ত:

  • ভয়।
  • অস্থিরতা।
  • পুরুষত্বহীনতার আশংকা।


তৃতীয়ত:

  • যৌন পাত্র পাত্রীর প্রতি যৌন আকর্ষণ ও ভালবাসার অভাব।


চতুর্থত:

  • যথেষ্ট যৌন কামনার অভাব।
  • যৌন ব্যাপারে অনীহা।


পঞ্চমত:

  • প্রচ্ছন্ন বা সক্রিয় সমকামীতার অভ্যাস বা অন্য কোনও প্রকার যৌন - বিকৃতি।


চিকিৎসা:

পুরুষত্বহীন ব্যাক্তি যদি স্বক্রীয় ভাবে এই সব মনস্তাত্বিক বাধা দূর করতে সমর্থ হয়, তাহলে তার পুরুষত্বহীনতার সমস্যাও দূর হতে পারে। রোগী যদি নিজে নিজে এই সমস্যার সমাধান করতে না পারে, তা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। জৈবিক ত্রুটি থাকলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।


লেখক: ডা: মোঃ ফাইজুল হক

Post a Comment

Previous Post Next Post