ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে চাইলে পোস্ট সবাই পড়বেন প্লিজ। জগতের কোন দেশে কীটনাশকে হেভিমেটাল থাকার অনুমতি নেই। কারণ কীটনাশকে হেভিমেটাল থাকলে তা মাটি পানির মাধ্যমে চাল, ডাল, শাকসবজি, মাছসহ পুরো ফুড চেইনে চলে যাবে।
তা আমাদের দেশের প্রায় সব কীটনাশকে যে মারাত্মক পরিমাণে হেভিমেটাল পাওয়া গেল (দুইবার ল্যাব টেস্ট করার পর), তা তো প্রায় হজমই করে ফেলা হয়েছিল।
ওএসডি হবার পর সেটাতে বহু প্যাচ মেরে তা একটা নীতিমালা করার পর্যায়ে আনা হয়েছিল। খাদ্য হয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে যাবার পর "কীটনাশকে হেভিমেটাল" সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বালাইনাশক কারিগরি উপদেষ্ঠা কমিটি (পিটাক) এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল বরাবর ১৯/০১/২০২২, ২৮/০৪/২০২২, ২৪/০৭/২২ তারিখ পত্র দেয়া হয়।
শুনেছি পিটাক কীটনাশক থেকে ফসলে হেভিমেটাল যেতে পারে বা যাচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে অধিকতর গবেষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা নিচ্ছে।
১। মন্ত্রণালয় থেকে পিটাক'কে কীটনাশকে ভারী ধাতু বা হেভিমেটাল সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গবেষণা নয় কিংবা ফসলে হেভিমেটাল যায় কিনা সেটা পরীক্ষার জন্য নয়।
পরীক্ষার এত শখ থাকলে সারা দেশ থেকে কমিটি করে ২০০ চালের নমুনা ল্যাবে পরীক্ষা করে রিপোর্ট প্রকাশ করবেন প্লিজ। কিন্তু সেটা আলাদা বিষয়। কীটনাশকে হেভিমেটাল এর নীতিমালা আপনাদের করতেই হবে। কোন গবেষণা বা দর্শন শাস্ত্র নয়।
কীটনাশক মাস্ট বি পিওর। এটাই বিজ্ঞান, এটাই স্বাস্থ্য কথা।
২। নীতিমালা প্রণয়নের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এফডিএ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফুড অথোরিটি, কানাডা, অস্ট্রেলীয়ান ফুড সেইফটি অথোরিটি পরামর্শ নিতে হবে মাস্ট। আমাদের কীটনাশক আমদানিকারকের মতামত নয়।
আমাদের দেশের কীটনাশক টেস্ট করে (দুইবার) কিছু ভাল (নগণ্য) কীটনাশক ভাল গিয়েছিল। যেখানে কোন হেভিমেটাল ছিল না। ভাল পাওয়া গেলে, সব ভাল নয় কেন? তাহলে খারাপ কেন থাকবে?
যারা মনে করেছেন, তিনটি শাস্তি পেয়ে আমি শুয়ে গিয়েছি, তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। আমাদের সন্তানদের জন্য আমাদের জেগে থাকতেই হবে। আল্লাহ আমাদের সহায়।
এই বিষয়ে ওপেন সেমিনার ওয়ার্কশপ করুন। সবার মতামত নিন। লাইভ সম্প্রচার করুন। দেশবাসী দেখুক আমরা কোথায় চলেছি।
লিখেছেন: Mahbub Kabir Milon
Post a Comment