নিম্ন রক্তচাপ প্রতিরোধে করণীয়

 


আমাদের অনেকেরই নিম্নরক্ত চাপের সমস্যা আছে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকের তুলনায় রক্তচাপ কম থাকে। সবাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সচেতন থাকলেও নিম্ন রক্তচাপও কম ক্ষতিকর নয়। মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব এবং অস্পষ্ট দৃষ্টিশক্তি নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ।


নানান কারণে নিম্নরক্ত চাপ হতে পারে যেমন- ডিহাইড্রেশন, রক্তশূণ্যতা, থাইরয়েডের সমস্যা, গর্ভাবস্থায়, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, পুষ্টিগত ঘাটতি, সোডিয়ামের অভাব, মানসিক দুশ্চিন্তা ইত্যাদি কারণে নিম্নরক্ত চাপ হতে পারে। অনেকের আবার সব সময়ই নিম্নরক্তচাপ থাকে। তবে কারণ যাই হোক না কেন নিম্ন রক্তচাপ প্রতিরোধে কিছু খাবারের ব্যপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।


নিম্ন রক্তচাপ প্রতিরোধে কি করবেন?

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, মাংস ,ডিম, দুধ খাবার তালিকায় রাখতে হবে এবং অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।


পর্যাপ্ত পানি

শরীরকে হাইড্রেট রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। পানি ছাড়াও শরবত বা ডাবের পানিও হতে পারে। শরীরের ইলেক্ট্রলাইট ব্যালেন্স থাকলে নিম্ন রক্তচাপ প্রতিরোধ করা সম্ভব।


লবন পানি

রক্তচাপ বাড়ানোর জন্য কার্যকর হচ্ছে সোডিয়াম । তাই আধা চা-চামচ লবণ মেশানো এক গ্লাস পরিমাণ পানি পান করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত লবন পানি পাকস্থলিতে আলসার, বৃক্কে পাথর এবং শরীর ফোলার কারণ হতে পারে। ডায়াবেটিকস না থাকলে আর ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে সেলাইনও খাওয়া যেতে পারে।


সিদ্ধ ডিম

কুসুম ও লবন সহ সিদ্ধ ডিমও নিম্ন রক্তচাপের জন্য ভালো।


কুসুম গরম দুধ

কুসুম গরম দুধ বা কুসুম গরম দুধের সাথে কফি মিশিয়ে খেলে ব্লাড প্রেসার বাড়ে ।


কফি

চিনি ছাড়া কফি খেলেও ব্লাড প্রেসার বাড়ে।


কিসমিস

বিশুদ্ধ পানিতে একমুঠো কিশমিশ সারারাত ডুবিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে রক্তচাপ বাড়বে।


কাঠবাদাম ও দুধ

পানিতে পাঁচ থেকে ছয়টি কাঠবাদাম সারারাত ডুবিয়ে রেখে সকালে এর খোসা তুলে নিতে হবে। এর পর ১ কাপ দুধের সাথে ব্লেন্ড করে খেলেও ভালো উপকার পাওয়া যাবে।


তুলসি পাতা

প্রচুর ঔষধি গুনে ভরপুর তুলসি পাতায় রয়েছে পটাসিয়াম,ম্যগনেসিয়াম,ভিটামিন সি, ইউজিনল’ নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। ৪/৫ টি তুলসি পাতা ফুটিয়ে সেই পানি খেলে নিম্ন রক্তচাপে ভালো কাজ দেয় ।


বিট রুট

শরবত করে, সালাদের সাথে , অন্যান্য সবজির সাথে বা কাঁচা অবস্থাতেও বিট রুট খাওয়া যায় যা নিম্ন রক্তচাপ প্রতিরোধে কার্যকরী।


আনার

ফল হিসেবে,সালাদ হিসেবে বা শরবত করেও খেতে পারেন।


মধু

এক গ্লাস পানিতে দুই টেবিল চামচ মধু আর এক চিমটি লবন মিশিয়ে খেলে নিম্ন রক্ত চাপের কারণে মাথা ঘোরানো কমে।


আরো পড়ুন: রক্তচাপ কেন বাড়ে ও কমে?

Post a Comment

Previous Post Next Post