শীতে ঠাণ্ডা লাগা ও ঠাণ্ডাজনিত রোগ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এ সময় অনেকের টনসিলের সমস্যা দেখা দেয়।
টনসিল বাড়লে ঢোক গিলতে গেলে কষ্ট হয়। মুখ-গলা, নাক, কান দিয়ে শরীরের অভ্যন্তরে জীবাণু প্রবেশে বাধা দেয় এই টনসিল। তাই টনসিল আক্রান্ত হলে জীবাণুর প্রকোপ বাড়ে, বাড়ে অন্যান্য অসুখের ভয়ও।
টনসিল কী?
টনসিল হলো আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি অংশ এবং আমাদের মুখের ভেতরেই চারটি গ্রুপে তারা অবস্থান করে। এদের নাম লিঙ্গুয়াল, প্যালাটাইন, টিউবাল ও অ্যাডেনয়েড। এই টনসিলগুলোর কোনো একটির প্রদাহ হলেই তাকে বলে টনসিলাইটিস। টনসিল বলতে আমরা সচরাচর যা বুঝি, তা কিন্তু আসলে টনসিলাইটিস। টনসিলাইটিস যে শুধু শিশুদের হয়, তা নয়। এটি শিশুদের বেশি হলেও যে কোনো বয়সেই হতে পারে।
এই রোগের কারণ
পুষ্টির অভাব, আইসক্রিম, ফ্রিজে রাখা শীতল পানি পান করা, স্যাঁতসেঁতে স্থানে থাকা এই রোগের কারণ। পাশাপাশি শীতে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দেয়।
টনসিলের লক্ষণ
তীব্র গলাব্যথা, মাথাব্যথা, খাবার খেতে কষ্ট, মুখ হাঁ করতে অসুবিধা, কানে ব্যথা, মুখ দিয়ে লালা বের হওয়া, কণ্ঠস্বর ভারি হওয়া ও মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া।
এ ছাড়া স্বরভঙ্গ, গলায় ঘাসহ টনসিল স্ফীতি, ঢোক গিলতে কষ্ট হয়, গলা ফুলে যাওয়া।
চিকিৎসা
টনসিলের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এ ছাড়া চাহিদামাফিক পানি পান করা, সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। মুখের হাইজিন (মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য) বা ওরাল হাইজিন ঠিক রাখতে হবে। এটিকে মাউথ ওয়াশ বলা হয়, যা দিয়ে বারবার কুলি করতে হবে।
সাধারণ স্যালাইন বা লবণ মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে বারবার কুলি করতে হবে। লেবু বা আদা চাও খেতে পারেন। গলায় ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না।
যেহেতু তীব্র ব্যথা থাকে এবং জ্বর থাকে, সে ক্ষেত্রে জ্বরের ওষুধসহ কিছু ওষুধ দেওয়া হয় এবং এটা ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হতে পারে। ওষুধ নিয়মিত খেলে ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে যায় এবং রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে।
আরো পড়ুন: নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ ও চিকিৎসা
Resource Person: AH Raju
Post a Comment