'আর নয় ইনসুলিন বা ট্যাবলেট! দেশেই পাওয়া যাচ্ছে "বিদেশি" গোয়ানুরা গাছ! দিনে মাত্র দুই (০২)টি পাতা খেলেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হবে!'
নিচে গাছের চারা বিক্রি হচ্ছে। ইনসুলিন নির্ভর রোগি "বিদেশি" ট্যাগ দেখে ইনসুলিন বাদ দিয়ে এই কাঠালপাতা চাবালে অরগ্যান ড্যামেজ হলে কে দায়িত্ব নিবে?
ওই গোয়াগাছের পাতাতে ঔষধি গুণ থাকতে পারে। কিন্তু সমস্যা হল সেটার ডোজ বৈজ্ঞানিক পন্থায় পরিমাপকৃত না। সাইড ইফেক্টস পরীক্ষিত না। লিভার, কিডনি, হার্ট ডিজিজ বা প্রেগন্যান্সিতে সেফটি এসট্যাবলিশড না। হারবাল-জড়িবুটি, বিদেশি লতাপাতার এইটাই প্রবলেম। আমি অমৃত খাওয়াচ্ছি না বিষ- সেটাই জানিনা। কোন বিবেকসম্পন্ন ডাক্তার মেকানিজম, সেফটি, ডোজ, রিসার্চ ইত্যাদি না জেনে কোন কিছু অ্যাপ্রুভ করতে পারেন না। কেউ কেউ ভাবতে পারেন- শেষ সময়ে রোগি যা খেয়ে শান্তি পায় খাক। কিন্তু সেটা খেয়ে উল্টো তার কষ্ট বাড়বে কিনা জানিনা। না জেনে কীভাবে মতামত দেই?
এত কিছু বলার কারণ- গতকাল এক হাই ক্লাস রোগি বলল, সে ক্যান্সারের জন্য বিদেশি তিব্বতি হারবাল খাবে আর শুধু বিভিন্ন সিম্পটমের জন্য আমাদের সিম্পটোম্যাটিক চিকিৎসা নিবে। তার কিডনিতে সমস্যা। হারবাল-কারবাল খাওয়ার পর কিডনির অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে গেছে। খুব কষ্ট পাচ্ছে। বুঝতেও পারছিনা কীসের মেকানিজমে কী হচ্ছে। তবে, রোগি শিক্ষিত হওয়ায় কো-অপারেটিভ। কাউন্সেলিং করার পর সে কিডনির চিকিৎসা চলাকালীন জড়িবুটি বন্ধ রাখবে বলেছে। দেখা যাক কী হয়!
লিখেছেন- ডা. কায়সার আনাম
লিখেছেন- ডা. কায়সার আনাম
Post a Comment