রমজানে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে রাখা অন্যান্য মাসের তুলনায় অধিক সহজ। তবে এর জন্য প্রয়োজন কিছু স্বাস্থ্য সচেতনতা। সংক্ষিপ্তভাবে কিছু স্বাস্থ্য পরামর্শ নিচে উল্লেখ করা হল-
- একজন সুস্থ ব্যক্তির ইফতারের প্লেট থেকে ভাজাপোড়া সরানো প্রায় অসম্ভব। তাই যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর উপায়ে ঘরে তৈরি ভাজাপোড়া খেতে হবে।
- ইফতারের ম্যানুতে বিভিন্ন সবুজ ফলমূলের সালাদ রাখতে পারেন।
- ইফতার শেষে এক কাপ কফি খেতে পারেন।
- অতিরিক্ত ইফতার করা হতে বিরত থাকতে হবে।
- হালকা হলেও সেহরীতে খেয়ে নিবেন।
- যারা ইন্সুলিন ব্যবহার করেন তাদের সকালের ইন্সুলিন ইফতারে এবং রাতের ইন্সুলিন সেহরিতে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ট্যাবলেটের ক্ষেত্রেও তাই। তবে সারাদিন যেহেতু না খেয়ে থাকা হয় সেহেতু ইন্সুলিন বা ট্যাবলেটের মাত্রা একটু কমিয়ে দেওয়া হয়। আর এসবই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে করা উচিত।
- যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা সিদ্ধান্তহীনতায় থাকেন খেজুর বা খোরমা খাবেন কিনা! কারণ এই ফলে শর্করার পরিমাণ বেশি। তবে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে এক, দুইটা খোরমা বা খেজুর খেতেই পারেন রোগী। এক্ষেত্রে তেমন কোনো সমস্যা হয় না।
- রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনি নিয়মিতভাবে যে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন, রোজা রাখার প্রস্তুতি হিসেবে প্রথমে তার সঙ্গেই কথা বলতে হবে। মনে রাখতে হবে, সাধারণভাবে রোজা শরীরের জন্য উপকারী, কাজেই এ বিষয়ে আগ্রহ থাকাটাই বাঞ্ছনীয়। রোগ অনেক সময় রোজা রাখার ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে কিন্তু তা যেন অকারণ অজুহাত না হয়।
আপনার রমাদান হোক সুস্থতার সাথে অনেক অনেক কল্যাণময়।
Post a Comment