রোজায় গ্যাস্ট্রিক আলসারের মেডিসিন


অনেকেই গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ নিয়মিত এবং সাড়া বছর খেয়ে থাকেন। আবার অনেকে বিভিন্ন রোগের জন্যও এই মেডিসিন খেয়ে থাকেন। যেমন - হার্টের অসুখের রোগীদের ইকোস্পিরিন খাওয়া লাগে, সেটা গ্যাস্ট্রিক আলসার করে। সেটা থেকে প্রোটেকশন দিতে সাড়া বছর পেন্টোপ্রাজোল খাওয়া লাগে।

রোজা যদিও গ্যাস্ট্রিক আলসার বাড়ায় না। তবুও যাদের পূর্ব থেকেই অনেক আলসারের সমস্যা তাদের জন্য আলসারের মেডিসিন খাওয়া জরুরী। আর আমরা জানি এটা আলসারের মেডিসিন খাওয়ার আধা ঘন্টা আগে খেতে হয়। কিন্তু রোজা রেখে ইফতারের আগে গ্যাস্ট্রিক আলসারের মেডিসিন খাওয়া সম্ভব না। আর খাওয়ার পর খেলে গ্যাস্ট্রিক আলসারের মেডিসিন পুরাই অকার্যকর।

এই বিপদ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো - "র‍্যাবিপ্রাজোল"। এটা বাজারে রেব, ফিনিক্স, এসিফিক্স, রেবেকা নামে পাওয়া যায়। ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট। এটা আপনি চাইলে সেহরি বা ইফতারের পরেও খেতে পারবেন। কারন এটা অন্যান্য PPI এর মত এনজাইমেটিক ডিগ্রেডেশন হয় না। আর এটা একটা খেলেই সাড়া দিন কভার করবে।

রোজায় ভাজা পোড়া বেশি খেয়ে অনেকে আক্রান্ত হতে পারেন গ্যাস্ট্রিক আলসারে। নতুন করে আক্রান্ত দের পেটে ব্যাথার চেয়ে বেশী সমস্যা হয় - বমি বমি ভাব, টক পানি আসা, পচা ঢেকুর আসা, বুক জ্বলা ইত্যাদি বেশী সমস্যা করে। তাদের জন্য ডাইরেক্ট এসিড নিউট্রালাইজার সিরাপ বা ট্যাবলেট ভালো কাজ করে। যেমন - এন্টাসিড অথবা সোডিয়াম এলজিনেট ও পটাশিয়াম বাইকার্বোনেটের কম্বিনেশন। বাজারে এগুলো - এসিন্টা, এলজিসাম, এলজিসিড নামে পাওয়া যায়। সেহরির পর ৩ চামচ খেয়ে নিলে সাড়া দিন আলহামদুলিল্লাহ স্বস্তি।

ভালো ভাবে কাটুক প্রতিটা সিয়াম সাধনার দিন।


লিখেছেন- ডাঃ সাঈদ সুজন

Post a Comment

Previous Post Next Post