১. সকালে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠা উচিত। মুখ ধুয়েই এক থেকে দুই গ্লাস পানি খাওয়া ভাল। এতে সহজে কোন পেটের রোগ হয় না।
২. পানি খাবার পর কিছুক্ষন খোলা জায়গায় হাঁটা উচিত। সকালের বিশুদ্ধ বাতাস শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।
৩.খালি পেটে চা বা কফি খাওয়া ঠিক না। এসব খাবার আগে অবশ্যই কিছু খাওয়া প্রয়োজন।
৪. খাবার যতদূর সম্ভব নিয়মিত খাওয়া উচিত। খিদে না পেলে কখনই খাওয়া উচিত নয়, আবার খুব বেশী বা খুব কম খাওয়াও উচিত নয়।
৫. সপ্তাহে বা ১৫ দিনে একদিন উপবাস করলে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা ঠিক থাকে। আমাবশ্যা বা পূর্ণিমাতে উপবাস করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
৬. খাবার সময় বেশি পানি খাওয়া ঠিক না। খাবার ১৫ মিনিট পূর্বে দুই গ্লাস পানি খাওয়া ভালো। খাবার শেষ করার অন্তত ১ ঘন্টা পরে পানি খাওয়া উচিত তবে দিনে যত বেশি পানি পান করা যায় ততই ভাল। বেশি পানি পান করলে কোন ক্ষতি নেই।
৭. তাড়াতাড়ি বা অন্যমনস্ক হয়ে খাবার খাওয়া ঠিক না।খাবার সময় অতিরিক্ত কথা বলা ঠিক না।
৮. খাবার ভালমত চিবিয়ে খাওয়া উচিত। খাবার যত চিবিয়ে খাওয়া যায় তত তাড়াতাড়ি হজম হয়।
৯. দুপুরে খাবার সময় ১২টা এবং রাতে খাবার সময় ৯ টার আগে হওয়া উচিত। কেননা বেশি রাতে খেলে খাবার ঠিকমত হজম হয় না, তাই রাতে হালকা খাওয়া উচিত। অধিক রাতে দুধ ছাড়া কিছু খাওয়া ঠিক না।
১০. রাতে খাওয়ার অনন্ত আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পরে ঘুমাতে যওয়া উচিত।
১১. অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর বিশ্রাম না নিয়ে খাওয়া ঠিক নয়, তেমনি খাবার পর অবশ্যই কিছুক্ষন বিশ্রাম নেওয়া দরকার।
১২.রোদ থেকে এসে বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি খাওয়া ঠিক না।
১৩. ঘুম থেকে উঠে সাথেসাথেই ওয়াশরুমে যাওয়া ঠিক না।
- [ডা: মোহাম্মদ আলী, চীফ কনসালট্যান্ট, বিজিএমইএ]
Read Also:
Related Searches: দৈনিক খাবারের রুটিন, সুস্থ থাকার খাবার তালিকা, ৭ দিনের খাবার তালিকা, খাবার রুটিন, সুস্থ থাকার ব্যায়াম, কোয়ান্টাম খাদ্য তালিকা, দুপুরের খাবারের তালিকা, মেয়েদের খাদ্য তালিকা।
Post a Comment