অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স থেকে বাঁচার উপায় কি?



সাধারণত ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।

সঠিক পরিমাণে এবং পর্যাপ্ত সময় ধরে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করলে আমাদের শরীরে থাকা ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াগুলো পরোপুরি ধ্বংস না হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

পরবর্তীতে এই একই ব্যাকটেরিয়া শরীরে আবার আক্রমণ করলে ওই এন্টিবায়োটিক আর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করতে পারে না বা তাদের বংশবৃদ্ধি রোধ করতে পারে না। এন্টিবায়োটিক তখন অকার্যকর হয়ে যায়, একেই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলে।


অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরী হওয়ার কারণ কি?

আমরা নিজেরাই আসলে ব্যাকটেরিয়াকে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হতে সাহায্য করি।

আমরা নিজের ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে নেই। আবার বেশির ভাগ সময়েই এন্টিবায়োটিকের কোর্স শেষ করিনা, মনের ভুলে কিংবা ইচ্ছাকৃত ভাবে। এতে করে ব্যাকটেরিয়া নিজেকে পরিবর্তন করার সুযোগ পেয়ে রেজিস্ট্যান্ট এবং আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে।


এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হলে কি ক্ষতি হয়?

১.নিয়ম না মেনে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে কিন্তু শুধু রেজিস্ট্যান্সই হয়না, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নষ্ট হয়।

২.আমাদের শরীরে কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। নিয়ম না মেনে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে এই ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো মারা যায়। ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।

৩.কিছু কিছু অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ব্যাকটেরিয়া একজন থেকে অন্যজনে ছড়াতে পারে,এমনকি পশু থেকে মানুষে এবং ছড়িয়ে পড়তে পারে পরিবেশেও। ফলে সুস্থ মানুষের শরীরেও এই রেজিস্ট্যান্স ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে এবং সুস্থ মানুষেরও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে পরিশেষে ওই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ আর আমাদের শরীরে কাজ করে না।


অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স থেকে বাঁচার উপায় কি?

১.যদি কোনো কারণে অ্যান্টিবায়োটিক খেতেই হয়, অবশ্যই ডাক্তার,মেডিসিন এক্সপার্ট বা ফিজিসিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া না খাওয়াই ভালো।

২.অবশ্যই অবশ্যই পুরো কোর্স শেষ করতে হবে, কোনো ভাবেই মাঝখানে বন্ধ করে দেয়া যাবেনা।

৩. নিজের ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ডোজ কখনই পরিবর্তন করা যাবে না।

Post a Comment

Previous Post Next Post