বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খাদ্যাভাস পাল্টায়। খাবার থালা আরও পরিশীলিত হয়। তবে বয়সের প্রতিটি পর্যায়ে, দেহের জন্য সঠিক ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে এমন সঠিক খাবার খাচ্ছেন কি?
সুপারফুডইউকেডটকম এর পুষ্টিবিদ এলা অলরেড । তিনি ডেইলি মেইলকে জানান, টিনএজ থেকে মেনোপোজ পর্যন্ত নারীর জীবনের প্রতি ১০ বছর পর পর শরীরে কী কী খাবার উপকরণের চাহিদা বাড়ে। কয়েকটি ধারাবাহিক পর্বে সেসব জানবো। আজ জেনে নিই প্রথম পর্ব।
কৈশরের শেষভাগ
শৈশব থেকে প্রাপ্ততার দিকে এগোনোর সময়টাতে বয়স পারফেকশন ডিমান্ড করে। ভালো চেহারা, ভালো আউটলুক, ভালো গড়ন এসব। এসময় অাত্মসচেতনতা তৈরি হয়। যার ফলে এ বয়সীদের অনেকে এক্সট্রিম ডায়েটে চলে যায়। লো-কার্ব ডায়েট বা সবজি নির্ভর ডায়েট বেছে নেয়। কিন্তু এতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুষ্টি বাদ পড়ে যায়। এসময় দরকার স্বাস্থ্যকর সুষম খাদ্যের অতিরিক্ত পুষ্টি।
- এলা অলরেড জানান, হাড়ের স্বাস্থ্য আর ভবিষ্যৎ জীবনীশক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা ভাবতে হবে।
- ফোকাস রাখতে হবে, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে এমন খাবার যেমন- পাতাযুক্ত সবজি, বাদাম, বিচি ও শস্যদানা।
- এলা বলেন, আমন্ড দুধ অবিশ্বাস্যরকম ভালো একটি পানীয়। এটি গরুর দুধের সেরা বিকল্প হতে পারে। ফ্রেশ ডুমুর আরেকটি সেরা ক্যালসিয়ামপূর্ণ খাবার। যা সপ্তাহে কয়েকবার খাওয়া যেতে পারে। এ বয়সে হরমোন উৎপাদনের জন্য স্বাস্থ্যকর ফ্যাট প্রয়োজন। তাই ওমেগা-৩ ফ্যাটযুক্ত মাছ, ফ্লেক্স ও চিয়া সিড যোগ করা যেতে পারে।
- ফাইবার ও জিঙ্ক ত্বকের জন্য ভালো। বিশেষ করে যদি ব্রণ বা দাগ থাকে। তাই রোজকার সাত ভাগ খাবার ফল ও সবজি হলে ভালো। আর পূর্ণ শস্যের দিকে নজর দিতে হবে।
- ডিম ও মুরগীর মাংসে জিঙ্ক রয়েছে। প্রোটিন সমৃদ্ধ এ দুটো খাবার বেড়ে ওঠা ও সম্পূর্ণ বিকাশে প্রয়োজনীয়। কৈশোরের শেষ ধাপে পাস্তা ডিশের বিকল্প হতে পারে আমন্ড বাটার, আমন্ড দুধ, শাকের জুস ও চিয়া পুডিং।
- ডিম ও মিক্সড বাদাম সেরা স্ন্যাকস এসময়ে। সন্ধ্যার স্ন্যাকসে থাকতে পারে ওটস ও হুম্মাস।
Post a Comment