রমযান ও ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন পরিবর্তন

আমাদের দেশের প্রায় ৯০ ভাগ মুসলিম। তাই রমযান মাসে প্রায় বেশির ভাগ মুসল্লি রোজা রাখেন। অনেকে অসুস্থ্যতার মধ্যেও অধিক সওয়াবের আশায় রোজা রাখেন। আর আমি মনে করি সিয়াম সাধনা এমনই সব রোগের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ। অনেকে রোজা রেখে অসুস্থ হয়ে যাবেন বলে ভুল বুঝেন ।

শুধু মাত্র হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে রোজা ভাঙতে হবে । কারন হাইপোগ্লাইসেমিয়া একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি। ঠিক মত চিকিৎসা না করলে মৃত্যুও হতে পারে।

হাইপোগ্লাইসেমিয়ার সিম্পটম , যেমন- ক্ষুধা বেশি লাগা, বেশি করে ঘাম হওয়া, চোখ ঝাপসা দেখা, বুক ধড়ফড় করা, শরীর কাঁপতে থাকা, শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি হওয়া ইত্যাদি ।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া সিম্পটম দেখা দিলে অথবা রক্তে সুগারের পরিমাণ ৩.৫ মিলিমোল এর নিচে আসলে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে এবং পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করতে হবে।
আমাদের দেশের ডাক্তার রা বিশেষ করে যারা জিপি প্রাকটিস করে থাকেন, তারা যেন প্রেশক্রিপশন লেখার সময় অবশ্যই রোজার কথা মাথায় রাখেন। এই জন্য যে ঔষধের BD অথবা single ডোজ সেই গুলো রোগীর জন্য লিখলে রোজা হ্যাম্পার হবে না। আর সাথে কম্পলাইয়েন্স ও ভাল পাওয়া যাবে।

যেমন - যদি কোথাও ফ্লুক্লক্সাসিলিন অথবা সেফ্রাডিন এন্টিবায়োটিক ইউজ করতে চান,সেটা ৬ ঘন্টা অন্তর অন্তর দিতে হবে। কিন্তু রোজা রেখে এটা নেয়া সম্ভব না। তাই তার অল্টারনেট হিসেবে সেফালোস্পোরিন সেকেন্ড জেনারেশন চয়েজ করতে পারেন, যেটা BD ডোজ মানে দুই বেলা । সেহরি আর ইফতারে খেয়ে নিবে। এতে রোজা রাখতে সমস্যা হবে না।

বি:দ্র: শিরায় অথবা মাংসে ইঞ্জেকশন নিলে রোজা ভাংগে না। টেস্টের জন্য অথবা অসুস্থ্যকে রক্ত দিলেও রোজা ভাঙ্গে না।

Writer: Sayed Sujon

Post a Comment

أحدث أقدم