কেন নারী দিবস পালিত হয়?



বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাঁদের কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে মহিলাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য অর্জনের উৎসব হিসেবেই পালন করা হয়।

আর আমরা কত ভাবেই না নারী দিবস পালন করি! পোশাক নিয়ে, নির্যাতন নিয়ে নারী অধিকার নিয়ে....... আরো অনেক কিছু নিয়ে।

কাল একটা পোষ্টে দেখলাম “কামাই থাকলে জামাই লাগে না”

এই কথাটা কিসের জন্য বলা হলো আমি এখনও বুঝে উঠতে পারিনি! আমি তো মনে করি কামাই কেনো জীবনে সকল ক্ষেএে জামাইয়ের প্রয়োজন। যেমন ধরেন একটা বাচচা নিবেন? এখানেও কিন্তু জামাইকে লাগবে। আর বাচ্চাকে ভালো বিদ্যালয়ে পড়াতে চাইলে সেখানেও কিন্তু বাবার পরিচয় লাগবে।

এইবার আসি আরেকটি কথায়-

আমরা বলি বিয়ের পর পুরুষ দ্বারা নির্যাতত হই। আমি এটার পক্ষে কখনই যাইনি। কারন বিয়ের পর আমরা একজন নারী আরেকজন নারী দ্বারাই নির্যাতিত হয়ে থাকি তার চাইতে বহুগুণে।

যখন আমরা ননদ তখন ভাবীর পিছে লেগে যাই! আবার যখন কারো ভাবী তখন এর উল্টো টা করি! যখন শাশুড়ী হবেন, সেটার বিবরন নাই দিলাম.....

কখনও কি দেখেছেন দেবর -ভাবী, শালী- দুলাভাই,শ্বশুড়-বৌয়ের মধ্যে রেষারেসি? আমি দেখিনি। যদিও হয়ে থাকে তাহলে সেটার পেছনে ঘাটলে দেখবেন রেষারেসির তৈরির পেছনে নারীর অবদান অতুলনীয়! আমরা মেয়েরাই একজন আরেকজনের পেছনে কাচি আর বাঁশ দিতে ব্যস্ত!

কিছু কিছু পুরুষ বৌয়ের উপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে থাকে, এইটা কিন্তু পারিবারিক শিক্ষা  থেকে হয়।

বিয়ের পর কিন্তু একজন নারী চেয়ে পুরুষই নির্যাতিত হয়ে থাকে। তার পরিবার আর তার বৌয়ের থেকে, এই চিন্তা আমরা কয়জন করি? বৌকে আদর করলে বৌ পাগল বলি, বাবা-মায়ের পক্ষে নিলে  নানা ধরনের বাজে কথা বলি......,

পুরুষরা সব দিক বুঝে কিন্তু সব দিক সামলাতে কেউ পারে কেউ পারে না। যারা পারেনা তারা হয়তো বাবা-মা ছাড়ে না হয় বৌ....

ইতিহাসের রাজাদের আমলে যতো ষড়যন্ত্র তৈরি হয়েছে সব নারী থেকেই। অধিকার আর সম্মাানও যদি না করতো তাহলে এই ষড়যন্ত্র করার সুযোগটাই তারা পেতো না। তারপরও আমরা আমাদের অধিকার নেই বলে রাস্তায় আন্দোলন করে যাচ্ছি।

মেয়েরা হচ্ছে চালনির মতো নিজের হাজার ফুটো থাকলেও অন্যের কয়টা ফুটো আছে তা নিয়ে গবেষনা করতে থাকে!  কথাগুলো খারাপ মনে হলেও চিরন্তন সত্যি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কথাগুলো লিখলাম। 

সবশেষে একটা কথা বলবো, নারী পুরুষ সমান অধিকারের চেয়ে দুইজনের মাঝে যদি ত্যাগ, ভালোবাসা, বিশ্বাস থাকে তাহলে এত আন্দোলনের প্রয়োজন  হয় না। ঝাগড়া, বিবাদ দিয়ে কিছু জয় করা যায় না। নিরব থেকেই কিন্তু যুদ্ধ করা যায়। এতে সম্মাান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা সবই অর্জন করা যায়।

নারী দিবসের পাশাপাশি যদি পুরুষ দিবস থাকতো তাহলে এই দিনে আমাদের মতো তারাও নিজের গল্প শেয়ার করতে পারতো।

তাই নারী দিবসের অজুহাতে উল্টাপাল্টা পোষ্টের মাধ্যমে নিজেদের ছোট করা থেকে বিরত থাকি।

ধন্যবাদ


Writer: Mousumi Akter

Post a Comment

Previous Post Next Post