চিনির দাম বেড়ে যাওয়া ও আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি


চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্যান্সারসহ মারাত্মক রোগ সৃষ্টিকারী ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) অবৈধভাবে বন্দর দিয়ে আমদানি বেড়ে গেছে। সামনে অন্য মাল রেখে ভিতরে কন্টেইনার বোঝাই করে ঘন চিনির অবৈধ আমদানি হচ্ছে। ঘন চিনির সাথে জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার সোডিয়াম সালফেট মিশিয়ে বাজারে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে ইতিপূর্বে।


চিনির দাম যত বাড়বে, মানুষেরা ঘন চিনি ততোই মেশাবে মিস্টি, বেকারী, গুড়সহ সব মিস্টিজাত আইটেমে। আর্টিফিসিয়াল সুইটনার নিষিদ্ধ এই ঘন চিনি, চিনির চেয়ে ৫০ গুন বেশি মিষ্টি।


জগতের অনেক দেশে নিষিদ্ধ তিনটি কীটনাশক/বালাইনাশক কার্বোফুরান, গ্লাইফোসেট এবং প্যারাকোয়েট বাংলাদেশে দেধারছে চলছে। ২০১৬ সালে কৃষি বিভাগ তিন বছর সময় দিয়ে এই তিনটি মারাত্মক ক্ষতিকারক কীটনাশক নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর বারবার সেই সময় বর্ধিত করে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।


আমি নিশ্চিত যে, ২০২৩ সালে গিয়েও সময় বর্ধিত করা হবে। অথচ এই তিনটি কীটনাশক/বালাইনাশকের যথেষ্ট বিকল্প বাজারে আছে। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে এই তিনটি ভয়াবহ বালাইনাশকের অনুমতি বর্ধিত করা হচ্ছে বছরের পর বছর।


ক্যান্সার এবং কিডনি ড্যামেজের একটি অন্যতম কারণ হতে পারে এই কীটনাশকগুলো। ফসলের সাথে তা আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে। গ্লাইফোসেট কিডনি ড্যামেজ করে মারাত্মকভাবে।


এক টিভি চ্যানেলকে খাদ্যে ভেজাল নিয়ে আমাকে যুক্ত করতে বলেছিলাম। আজ সবাইকে বলছি, সাহস থাকলে আমাকে নিয়ে বসুন।


ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে একদিন আমাদেরকে জবাবদিহি করতেই হবে। আমরা একটি অসুস্থ এবং বিকলাঙ্গ ভবিষ্যৎ তৈরি করছি।


Writer: Mahbub Kabir Milon Sir

Post a Comment

أحدث أقدم