ইঞ্জেকশন যেন এক ভয়ংকর জিনিসের নাম। কারো পা কেটে ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেছে সেখানে উহুরে বলে না। এমন বিষমারা শরীর। কিন্তু সে ইঞ্জেকশন দেইখা একাধিক বার অজ্ঞান হওয়ার নজীর আছে।
মোটা সুই দিয়া ভয় দেখানো বাবা মায়ের কমন অভ্যাস ডাক্তারের কাছে আসলে। তাই হয়তো জীবনের শুরু থেকে ডাক্তার মানেই ভয়ংকর কিছু ধরে নেয় বাচ্চারা।
ইঞ্জেকশন দেয়ার আর্ট খুব জরুরী। বিশেষ করে মাংস পেশীতে ইঞ্জেকশন দেয়ার ক্ষেত্রে নিউরোভাস্কুলার বান্ডল ও এনাটমি না জানলে বিপদ আসন্ন। হেমাটোমা হওয়া, ইঞ্জেকশনের জায়গা ফোড়া, পুজ হওয়া এমন অনেক পাওয়া যায়। সাথে সাথে ইঞ্জেকশন এর আগে স্কিন ওয়াশ করা জরুরী।
আর Vein এ ইঞ্জেকশন দিলে ভেইন বেস ফিক্স করা জরুরী। তাহলে মিসপ্রিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। না হলে বারে বারে খোঁচা খেয়ে রোগীর জীবন পাংচার, সাথে আপনার প্রেস্টিজও।
Subcutaneous ইঞ্জেকশন দেয়া একটু আর্টের বিষয়। কারন এই পথে ইনসুলিন দিতে হয় সারা জীবন। এই পদ্ধতিতে ইঞ্জেকশন দিতে চামড়া টেনে উপরে তুলুন, তারপর খাড়া করে সোজা নাইন্টি ডিগ্রী এংগেলে পুশ করুন। অনেকেই আড়া আড়ি করে দেয়, যা পুরাই ভুল।
লিখেছেন- ডাঃ সাঈদ সুজন
লিখেছেন- ডাঃ সাঈদ সুজন
Post a Comment