প্রতিদিন একটি কমলা খেলে মুখের দুর্গন্ধ থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায় কমপক্ষে দুই মাস খেতে হবে।
মুখের দুর্গন্ধ অনেক বিব্রতকর একটি সমস্যা। অনেকেই এই সমস্যায় পড়ে থাকেন। মুখে দুর্গন্ধ হলেই যে তিনি দাঁত ব্রাশ করেন না, তা কিন্তু নয়। অনেককেই নিয়মিত দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস করার পরও মুখের দুর্গন্ধের সমস্যায় ভুগতে হয়। কারণ মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ ব্যাকটেরিয়া।
দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস করার পরও যদি মুখে ব্যাকটেরিয়া রয়ে যায় বা নতুন করে ব্যাকটেরিয়া জন্মায় তাহলেই মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি এই মুখের দুর্গন্ধের বিরক্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন কিছু খাবারের মাধ্যমে? অবাক হলেও এটি সত্যি। চলুন তবে চিনে নেওয়া যাক মুখের দুর্গন্ধ দূরকারী এই উপকারী খাবারগুলোকে -
চিজ ও দই
চিজ এবং দই মুখের ভেতরের খাবারের কারণে উৎপন্ন হওয়া অ্যাসিড দূর করতে সহায়তা করে যা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টির জন্য দায়ী। তাই খাবার পর এক টুকরো চিজ বা এক বাটি দই খেয়ে নিলে মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন সহজেই।
কাঁচা ফল ও সবজি
কাঁচা ফল ও সবজি যেমন আপেল, গাজর, সেলেরি ইত্যাদি মুখের ভেতরের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এছাড়াও কাঁচা ফল ও সবজি দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা দূর করে দাঁত পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। এতে করে মুখের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
পানি
মুখের ভেতরটা যখন শুকিয়ে যায় তখন ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হতে থাকে যা মুখের দুর্গন্ধ হওয়া জন্য দায়ী। সে কারণে মুখের ভেতরটা হাইড্রেট রাখা অনেক বেশি জরুরি। আর তাই পানি পানের বিকল্প নেই। ঘন ঘন পানি পান করে নিন। এতে করে স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে এবং মুখ দুর্গন্ধ হওয়া থেকে মুক্তি পাবেন।
চিনি ছাড়া ক্যান্ডি ও চুইংগাম
যেকোনো ধরনের খাদ্য যা মুখের ভেতরে সালিভার প্রবাহ ঘটায় তা মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়ক। চিনি ছাড়া ক্যান্ডি ও চুইংগাম খেলে মুখের ভেতরের সালিভার প্রবাহ বাড়ে। এতে করে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না। ফলে মুখ দুর্গন্ধ হয় না।
লবণ
লবণের রয়েছে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতা। তাই যখন মনে হবে মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা হচ্ছে তখনই সামান্য লবণ গরম পানি দিয়ে গার্গল করে নিন। মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে নিমেষেই।
- [ডা: মোহাম্মদ আলী, চীফ কনসালট্যান্ট, বিজিএমইএ]
Post a Comment